বিগত বছরের চেয়ে এবার কুড়িগ্রামে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু আকষ্মিক বৃষ্টির পানি পড়ে জমানো পানি দিয়ে জমিতেই পঁচে গেছে ২৪৫ হেক্টর আলুর আবাদ। কৃষকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সরিয়েও জমির এসব পরিস্ফুট আলু রক্ষা করতে পারছেননা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, আকষ্মিকভাবে এ ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদেরকে প্রণোদনার আওতায় এনে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলতি বছর কুড়িগ্রাম জেলায় আলুর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাতেই আলুর আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ কৃষক জমি থেকে আলু উত্তোলন করতে পারলেও শেষ সময়ে যারা হিমাগারে বুকিং করে আলু জমা দিতে পারেননি তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা একটু দেরিতে আলু উত্তোলন করায় এরুপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। চলতি বছরের চৈত্র মাসে হঠাৎ করে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এসব আলু খেত প্লাবিত হয়ে পড়ে। গত এক সপ্তাহ যাবত জলাবদ্ধতায় সদ্য উত্তোলনকৃত আলু জমিতেই পঁচে গেছে। এতে সদর উপজেলাতেই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪৫ হেক্টর আবাদি জমির আলু।
কৃষকরা ধার দেনা করে এবং বিভিন্নভাবে ঋণ করে আলু চাষ করে সেই আলু হারিয়ে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষীরা চাচ্ছেন সরকারি সহযোগিতা। ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষী দবির উদ্দিন জানান, জমিতে পানি জমে থাকায় আলুর ক্ষতি হয়েছে। কৃষিবিভাগ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করলে ভালো হয়। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত শুরু করেছে আমাদের কৃৃষি বিভাগ। ওইসব কৃষকদের সামনে আউশ মৌসুমে সরকারি প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ