চাঁপাইবাবগঞ্জে শুষ্ক মৌসুমে মহানন্দা নদীতে পানি না থাকায় জেগে ওঠা নদীর বুকে গড়ে উঠেছে ফসলের মাঠ। যেদিকে চোখ যায়, দেখা মিলবে পাকা বা আধাপাকা ধান ক্ষেত। খরায় ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য বসানো হয়েছে সেচ পাম্প।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের খালঘাট থেকে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর সেতু সংলগ্ন তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীত ও শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ কম থাকায় মহানন্দা নদীর পাড়ে কৃষকরা বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করেছেন। উৎপাদিত ফসলে বাড়তি আয় করে কৃষকরা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
জানা যায়, মহানন্দা একসময় একটি প্রশস্ত এবং গভীর নদী ছিল, যার বুকে চলাচল করত বড় বড় মালবাহী নৌকা। চলার পথে এই নদী কোনো উপনদী গ্রহণ করেনি কিংবা এর থেকে কোনো শাখাও বেরিয়ে যায়নি। বৃষ্টির পানি এই নদীর প্রবাহের প্রধান উৎস। ফলে গরম কাল ও শীতকালে নদীর পানি কমে যায়। আর বর্ষা মৌসুমে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে বন্যা হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুম শুরুর সাথে সাথে পানির প্রবাহ কমে যায় আবার বর্ষা মৌসুম আসলেই পানি বেড়ে যায়।
এছাড়া খরা মৌসুমে নদীটি শুকিয়ে মরুভূমির রূপ নেয়। এসময় নদীর বুকে ধান, গমসহ বিভিন্ন ফসলাদি চাষাবাদ করা হয়ে থাকে সেচের মাধ্যমে। তাই সব সময় নদীর পানি ধরে রেখে চাষাবাদসহ মাছের উৎপাদন বাড়াতে মহানন্দা নদীতে রাবার-ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ৩০ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রাবার ড্যাম নির্মাণ কাজ শেষ হলে আর নদীর বুকে চর জাগবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ময়েজ উদ্দিন জানান, পানি সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। রাবার ড্যামের কাজ সম্পন্ন হলে ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহানন্দা নদীতে সারাবছর পানি থাকবে। এছাড়া বছরজুড়ে দেশী মাছ আহরণ ও কৃষি জমিতে চাষাবাদ করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই