ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মো. শাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. কিরণ মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের। অভিযুক্ত শিক্ষক গোয়ালনগর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা।
শাহিদুর রহমান ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থগার ও বিজ্ঞান) পদে যোগদান করেন। জালিয়াতির বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে শাহিদুর বলেন, কর্তৃপক্ষ আমার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র দেখেই নিয়োগ দিয়েছেন। আমি কোনো প্রতারণার আশ্রয় নেয়নি।
অভিযোগের অনুলিপি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাহিদুর রহমান ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থগার ও বিজ্ঞান) পদে যোগদান করেন। এর আগে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থগার ও বিজ্ঞান) পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতকসহ স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রস্থাগারিক বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্স। কিন্তু শাহিদুর রহমান গ্রস্থাগারিক বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্স না করেই এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে) মাস্টার্সের একটি জাল সনদ সংগ্রহ করে আবেদন করেছিলেন।
গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পরীক্ষার পূর্বে তার সনদ দেখে সন্দেহ হলে আমি নিয়োগ বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের জানাই। কিন্তু কেউ এ বিষয়টি আমলে নেয়নি। এ বিষয়ে আমার এর বেশি কিছু বলার নেই। ডিজি প্রতিনিধি মো. আলমগীল মিয়া বলেন, আমাদের কাজ হলো নিয়োগের বিষয়টি দেখা। সনদ যাচাই করার বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখভাল করবেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল