সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গৃহবধূকে গাছের সাথে পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতিত গৃহবধূর নাম শেফালী বেগম। বয়স ২৭ বছর। একই সাথে গৃহবধূর বাবা শামসুল আলম (৬০) ও মা নাজমা বেগম (৫০) এবং ভাই নাসির উদ্দিনকে (২১) মারধর করা হয়েছে।
ঈদের দিন বিকেলে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের চৈরগাঁতী পুর্বপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহত শামসুল ইসলাম জানান, তার সৎ-ভাই নজরুল ইসলামের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ অবস্থায় ঈদের দিন বিকেলে ভাই নজরুল ইসলাম, হাফিজুল সেখ, মাহমুদুল শেখ, রাশিদুল শেখ, হাফিজুলের ছেলে প্ত্রু মেরাজ শেখ, নজরুল ইসলামের স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), হাফিজুলে স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মাহমুদুলের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও রাশিদুল সেখের স্ত্রী তানিয়া বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে শেফালী বেগমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ডাব গাছের সাথে বেঁধে প্রায় ৪৫ মিনিট মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে কামারখন্দ থানায় ফোন দিলে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে সকলেই চিকিৎসাধীন রয়েছি।
কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম