পরকীয়ার সন্দেহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ভাটি লক্ষীপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাটি লক্ষীপুর নিবাসী সফিকুল ইসলাম কালা (৬০) ও তার স্ত্রী লিপি বেগম (৪০) এর সাথে নিয়মিতই ঝগড়া বিবাদ হতো। এ দম্পত্তির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মতো ঝগড়া হয়। এসময় সফিকুল ইসলাম রাতে বাসা ছেড়ে চলে যায়। নিহত লিপি বেগমের ছেলে পনির ইসলাম জানান, তার বাবা সকালে বাসায় এসে বলে, জামা কাপড় দাও, আমি ঢাকায় চলে যাবো। বাসায় ঢুকেই সে মাকে ছুড়ি দিয়ে গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের নাতনি স্মৃতি আক্তার (১২) জানান, তার দাদা ঘরে ঢুকে দাদির কাছে জানতে চায় তুমি বাবলুর সাতে কি করেছো? এ কথা নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। দাদি বলে, তিনি কারো সাথে কিছুই করেননি। এসময় দাদা তার কোমর থেকে ছুড়ি বের করে দাদির গলায় বসিয়ে দেয়। এরপর দাদা পালিয়ে যায়। আমি এ সময় চিৎকার দিলে লোকজন এসে দাদিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সদর হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে, লিপি বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক স্বামী সফিকুল ইসলাম কালাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম