১৭ মে, ২০২২ ১৮:১০

গুমাই নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকশ হেক্টর জমির ধান নিমজ্জিত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

গুমাই নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকশ হেক্টর জমির ধান নিমজ্জিত

গুমাই নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকশ হেক্টর জমির ধান নিমজ্জিত।

পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দার গুমাইখালি নদীর পাঠান বাড়ি নামক বাঁধের একটি অংশ ভেঙে আশপাশের কয়েকটি বিলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে শতাধিক হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।

তবে নেত্রকোনার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান জানান, বিভিন্ন বিলে ৪৮০ হেক্টর ধান কর্তন বাকি রয়েছে। এই পানিতে সমস্যা হবে না। আজকেই (মঙ্গলবার) কেটে শেষ করে ফেলতে পারবে। সোমবার পর্যন্ত সমতলের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ধান কেটে ফেলেছেন কৃষকরা। এর আগে হাওরের ধান গত সপ্তাহেই শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার প্রধান নদ-নদীর মধ্যে কংস, মগড়া সোমেশ্বরীর পানি বাড়লেও পাহড়ি নদী কলমাকান্দার গনেস্বরীর পানি কংস নদী দিয়ে শাখা নদী গুমাইসহ জেলার বিভিন্ন হাওরের বিলে প্রবেশ করছে। এতে শ্রমিক সঙ্কটে জমিতে থাকা বাকি ধানের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।

কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের সাত পাইকের ভিটা গ্রামের কৃষক তারা মিয়া বলেন, এমনিতেই শ্রমিক সঙ্কটের কারণে সময় শেষ হয়ে গেলেও ধান কাটা যায়নি। এর উপর রয়েছে গত কদিন ধরে বৃষ্টি। নিজেরা কেটে যেগুলো তুলতে পেরেছি, সেগুলোও শুকানো যাচ্ছে না। ফলে এবার ক্ষতি হয়েছে আমাদের অনেক বেশি। খাবার জোগারই হবে না। 

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ কি করে বলে ধান কাটা শেষ, আমরা তো দেখছি না! আপনারা সাথে আসেন। গিয়ে দেখাই কত ধান পানির নিচে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মোহন লাল সৈকত জানান, এটি ডুবন্ত বাঁধ। এর ভেতরে কোনো ধানের জমি নেই। হাওরের ধান কাটা আগেই শেষ হয়েছে। এই বাঁধের কারণে কোনো ক্ষতি হবে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়াও কংস নদীতে পানি বেড়েছে। কিন্তু বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর