ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির শিশু পুত্র রাফসান (১০) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান রত্না গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হত্যার সাথে জড়িত এরশাদ মোল্লা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শালিস বৈঠকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সদরপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে ঢেউখালী ইউনিয়নের হরিনা গ্রামের এরশাদ মোল্লার স্ত্রীকে গ্রাম্য শালিসে জরিমানা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি। একই সাথে এরশাদ মোল্লাকে ভৎসনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এতে ক্ষিপ্ত হন এরশাদ মোল্লা। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি ও তার পরিবার সদরপুর সদরে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আজ দুপুরে এরশাদ মোল্লা বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান রত্না ও শিশু পুত্র রাফসানকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। হামলায় শিশু পুত্র রাফসান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান রত্নাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক এরশাদ মোল্লাকে আটক করে পুলিশে দেয়। হামলার সময় চেয়ারম্যান বাড়িতে ছিলেন না।
সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার জানান, এ ঘটনায় ঘাতক এরশাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন