পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জন। এ খবরে উচ্ছ্বসিত ভাঙ্গার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা মনে করেন এ সেতু উদ্বোধনের ফলে ভৌগোলিকভাবে গুরুত্ব বাড়বে ভাঙ্গার। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ভাঙ্গার গুরুত্ব বাড়বে।
সেতু উদ্বোধনের ফলে ঢাকার সাথে ভাঙ্গা দূরত্ব হবে ৫৬ কিলোমিটার। সেতু চালু হলে উপজেলার লোক অনায়াসেই ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু এতদিন বাড়ির কাছে ঢাকা হওয়ার পরেও ঢাকা যেতে দুর্ভোগের শেষ ছিল না এলাকার লোকজনের। ভাঙ্গা সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী ইকরাম আলী শিকদার বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাওয়ায় আমি আনন্দে আত্মহারা। ভাঙ্গার পাশাপাশি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বের বুকে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মন্ডল বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে আমি আনন্দে অভিভূত। সেতু হওয়ায় অনায়াসেই কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা। এতে খরচ একেবারেই কম হবে, হবে কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রচুর পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হয়। এ ছাড়া তরকারির উৎপাদন হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে আমার এলাকার চাষিরা অনায়াসে ঢাকার বাজার ধরতে পারবে। এতে লাভবান হবে কৃষক।
ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী সুজন শাহ বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত ঢাকায় মোকাম করতে হয়। ট্রাকে মালপত্র আনতে আমাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো। ফেরি ঘাটে এসে ট্রাক দিনের পর দিন বসে থাকত। পণ্য পরিবহনে অনেক বেশি খরচ হতো তাই জিনিসপত্রের দাম খরিদ্দারদের একটু বেশি দামে কিনতে হতো। এখন খুব সহজেই আমরা ঢাকার মোকাম করতে পারব। ফলে জিনিসপত্রের দামও কমে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর