বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামে ছেলের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত বাবা নিরঞ্জন শীলের (৫৬) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ঘাতক ছেলে নেপাল চন্দ্র শীলকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিরঞ্জন শীলের স্ত্রী রাধা রানী বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় নেপাল চন্দ্র শীল ও সন্দেহভাজন লিটন চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল বাবা নিরঞ্জন শীলকে মারধর করে। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘরে রাখা কাঠের মাঠাম দিয়ে ছেলে সজোরে বাবার মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরবর্তীতে স্ত্রী রাধা রানি ও তার মেয়ে জোতিকা রানি ঘটনা দেখে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিরঞ্জন শীলকে দ্রুত পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। পরে বরিশালে নেওয়ার পথে নিরঞ্জন শীল মারা যান।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ছেলে নেপাল চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর