বরিশাল বিভাগের ৪টি নদীর পানি প্রতিদিন দুই বার বিপদসীমা অতিক্রম করছে। ভাটির সময় আবার পানি নেমে যাচ্ছে। অপরদিকে বরিশাল নগরীর কোল ঘেঁষে যাওয়া কীর্তনখোলাসহ অন্যান্য নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
উজানের পানির ঢল আর পূর্ণিমার জো’র প্রভাবে সমুদ্রের জোয়ারের চাপ হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের কর্মকর্তারা।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব শেষ মিটার গেজ রিডিং তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টায় ভোলা খেয়াখাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমা (২.৯০ মিটার) অতিক্রম করে ৩.০৪ মিটার লেভেল দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই ভাবে ওইদিন বিকেলে ভোলার তজুমদ্দিনে সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমা (২.৮৩) অতিক্রম করে ৩.৫০ মিটার লেভেলে, এই দুই নদীর ভোলার দৌলতখান এলাকায় বিপদসীমা (৩.৪১ মিটার) অতিক্রম করে ৩.৭২ মিটার লেভেলে, বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে বিপদসীমা (২.৮৫ মিটার) অতিক্রম করে ২.৮৯ মিটার লেভেলে এবং একই নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপদসীমা (২.৮৫ মিটার) অতিক্রম করে ৩.৪৫ মিটার লেভের দিয়ে প্রবাহিত হয়।
একই দিন বরিশাল নগরীর কোল ঘেঁষে যাওয়া কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমা (২.৫৫ মিটার) ছুঁই ছুঁই করে ২.৪৭ মিটার লেভেল দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া বিষখালী নদীর ঝালকাঠী পয়েন্টে বিপদসীমার (২.০৮ মিটার) ছুঁই ছুঁই করে ২.০০ মিটার লেভেলে, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জে বলেশ্বর ও পায়রা নদীর পানি (২.৮১ মিটার) ছুই ছুই করে ২.৭৮ মিটার লেভেলে এবং বলেশ্বর নদীর পিরোজপুর পয়েন্টের পানি বিপদসীমা (২.৬৮ মিটার) কাছাকাছি ২.৫৫ মিটার লেভেলে প্রবাহিত হয়।
অনান্য নদীর পানিও অনেক বেড়েছে। এ কারনে জোয়ারের সময় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আবার ভাটির সময় পানি কিছুটা কমছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, পূর্নিমার জো’র কারণে প্রতিদিন দুই বার জোয়ারের সময় সাগর ফুলে উঠছে। অপরদিকে উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানির ভাটির দিকে নামছে। এ কারণে বরিশালের বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমা অতিক্রম করছে। আবার ভাটির সময় কমে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল