তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে প্লাবন অব্যাহত রয়েছে। রংপুর জেলায় প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানির উঠা-নামায় তিস্তা নদীর কিছু এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অনেকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী ইউনিয়নের চরশংকরদহে অনেকেই ত্রাণের প্রত্যাশায় বসে রয়েছেন। শংকরদহ গ্রামে আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। টিনের চাল, বেড়া, চুলা, গবাদি পশু নৌকায় করে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুর আশপাশে উঁচু স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা। গত এক সপ্তাহে ওই গ্রামের প্রায় ১৫টি পরিবার ভাঙ্গনের কারণে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন।
ভোর ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ ছিল বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপরে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। দুপুর ৩টায় পানি কমে গিয়ে বিপদসীমার নিচে ৫২ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত গঙ্গাচড়ায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, কাউনিয়ায় ২০,পীরগাছায় ২০ এবং মিঠাপুকুর উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ৩’শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়ছে। শনিবার পর্যন্ত গঙ্গাচড়া উপজেলায় সরকারি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৪০০টি।
লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তিস্তা নদীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমার এলাকা। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিনবিনার চর থেকে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার বাঁধ দাবি করে আসছি। এই বাঁধ হলে আমাদের কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ রক্ষা পাবে। কিন্তু বাঁধ আজও হয়নি।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন বলেন, আমার উপজেলায় ৭’শ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। আমরা তাদের চাল, শুকনা খাবার, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছি। তাদের যে কোনো প্রয়োজন আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা