বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে তিস্তার পানি। বর্তমানে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাষ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানায়, গত কয়েক দিনের অব্যাহত উজানের ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলের কারণে নীলফামারীতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার বিকালে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৭৫০টি পরিবারের প্রায় ৭ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অধীনে ৪শ পরিবারের মাঝে ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও ২হাজার ৩৫০টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। বন্যার কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যার কারনে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে,পূর্বখড়িবাড়ীর দিঘিরপাড়, চরখড়িবাড়ী, পশ্চিম টাপুর চর, পাগলীর বাজার, একতার বাজার, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্বখড়িবাড়ী, পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ও পূর্বছাতনাই, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা ভেন্ডাবাড়ী ও ছাতুনামা, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোটখাতা, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও দোহলপাড়া মৌজার তিস্তার চর এবং গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর গয়াবাড়ী গ্রামসহ ৫টি ইউনিয়নের মোট ২হাজার ৭৫০টি পরিবারের প্রায় ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে মঙ্গলবার বিকালে পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ