উজান-ভাটি দু’দিক থেকেই চাপে পড়েছে হবিগঞ্জ। সিলেট ও সুনাগঞ্জের বন্যার পানি কালনি-কুশিয়ারা দিয়ে নামছে হবিগঞ্জে। অন্যদিকে জেলার ভাটি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। এতে উজান-ভাটি দু’দিক থেকেই হবিগঞ্জে ঢুকছে পানি।
ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত আড়াইশ’ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। এখনো পানিবন্দী সব জায়গায় পৌঁছায়নি খাদ্য সহায়তা। অনাহারে দিন কাটছে বানভাসীদের। এদিকে প্রতিদিনই বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা। মাঠে আছেন জনপ্রতিনিধিরাও। জেলা প্রশাসন বলছে, বানভাসীদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। সেই সাথে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, খোয়াই নদীর পানি ইতিমধ্যেই বিপদসীমার অনেক নিচে নেমে গেছে। তবে হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলায় ৯৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই