সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২২টি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই ওয়াপধা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা এলাকায় টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে বন্যা কবলিতদের মধ্যে বন্যাকালীন সংকট শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়ত যমুনার অরক্ষিত অঞ্চল চৌহালী, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও কাজিপুরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ইতিমধ্যে তিন শতাধিক বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারানো মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গতকাল বন্যাকবলিত চৌহালী উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ২২-২৩ জুন পর্যন্ত যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এরপর পানি কমবে। এখনো বন্যার আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। চৌহালী ও শাহজাদপুরের ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিডি প্রতিদিন/এমআই