২৭ জুন, ২০২২ ১৬:৪৫

নেত্রকোনায় বন্যার পানি কমছে ধীরগতিতে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় বন্যার পানি কমছে ধীরগতিতে

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উদ্বাখালি নদীর পানি কমলেও বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এছাড়াও খালিয়াজুরীর ধনু নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় এক সেন্টিমিটার বেড়ে ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কংশ নদীর পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, পানি কমছে তবে ধীরে। সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দায় স্থানীয় নাম উদ্বাখালি অংশে পানির লেভেল ডাউনে চলে গেলে আমরা পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হতে পারবো।

এদিকে, বিভিন্ন এলাকার পানি নামছে ধীর গতিতে। ফলে এখনো অনেকের বাড়িঘরের চুলা পানিমুক্ত হয়নি। মানুষ চিকিৎসার জন্য যেতে পারছে না হাসপাতালে। সব এলাকায় দেওয়া হচ্ছে না স্বাস্থ্যসেবা। খাবার দিচ্ছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তিসহ সমাজসেবীরা। কিন্তু পানিবন্দীর সংখ্যায় সেই খাবার অপ্রতুল। সেখানেই ত্রাণ দিচ্ছে খবর পেয়ে মানুষ ছুটছে। এমন অবস্থা জেলার প্রায় সবকটি উপজেলাতে।

জেলার সবকটি উপজেলার মোট ৭৭টি প্লাবিত ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দী থাকলেও সড়কসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে নানাভাবে দুর্ভোগ প্রায় ১০ লাখ মানুষের।

জেলার ত্রাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, মানুষজন যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন সোমবার পর্যন্ত সেখান থেকে ২ থেকে ৩ হাজার বাড়িঘরে চলে গেছে। রবিবার জেলার ১০ উপজেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর থেকে পাওয়া প্রতি উপজেলার জন্য ৫ লাখ করে টাকা পেয়ে সোমবার উপজেলাগুলোতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গো-খাদ্য এবং শিশু খাদ্যের জন্য প্রতি উপজেলা ২ লাখ হিসেবে মোট ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর