২৭ জুন, ২০২২ ১৮:৩২
চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগ

সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেফতার ৫

পাবনা প্রতিনিধি

সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেফতার ৫

সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেফতার ৫

অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান সানাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, সাঁথিয়া উপজেলার চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে মারপিট করে রবিবার বিকেলে অপহরণ করে নিয়ে আসে সানা ও তার সহযোগীরা। পরে উপজেলা সদরের ডাক বাংলো এলাকায় সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত কার্যালয় ‘ফেস টু ফেস’ অফিসে হেলালকে আটকে রেখে মারপিট করে এবং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। হেলালের এক আত্মীয় বিষয়টি সরকারি সেবা ৯৯৯ এ অভিযোগ দেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁথিয়া থানা পুলিশ পাঁচজনকে রবিবার সন্ধ্যায় ফেস টু ফেস অফিস থেকে আটক ও অপহৃত হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলেন-উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোনাবাড়ি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে হাসিবুল খান সানা ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান রুবেল, সন্দ্বীপ কুমার, ইয়াছিন আলী ও মিলন। এ ব্যাপারে হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী চক্র চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলা রুজু করা হয়েছে। বিকেলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদনও করবে পুলিশ।

হাসিবুল খান সানাকে ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর পরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করে। চার মাস হাজতবাসের পর সে জামিনে মুক্তি পায়। পরে তদবির করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করিয়ে পদ ফিরে পান সানা।

অপরদিকে, সানার সহযোগী মেহেদী হাসান রুবেল একাধিকবার চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি, সাঁথিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিস প্রাঙ্গণে অফিস চলাকালীন সময়ে রুবেল এবং তার ৫ সহযোগী স্থানীয় কৃষক ফরিদ আলীকে মারপিট করে। আহত ফরিদ সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকা অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে রুবেল ও সহযোগী বিশু ফরিদকে মামলা না করতে হুমকি প্রদান করে। পরে ফরিদ নিজেই বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এছাড়া চাঁদাবাজ চক্রের সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রতিবাদ করায় গত ২৫ মে রাতে সানা ও রুবেল গং সিনিয়র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। পরে হাবিবুর রহমান স্বপন বাদী হয়ে সানা ও রুবেলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর