নরসিংদীর মাধবদীতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া যন্ত্র উদ্ধারে নেমে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— নরসিংদীর বাসাইল এলাকার মৃত এরশাদ মিয়ার ছেলে স্যানিটারি মিস্ত্রি জাহিদ (৩২), একই এলাকার উত্তর সাটির পাড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রংমিস্ত্রী বায়েজিদ (২২) এবং মাধবদীর গদাইরচর এলাকার কাউছার মিয়ার ছেলে আনিছ মিয়া (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে গদাইরচর আফিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নবনির্মিত চারতলা ভবনের পূর্ব পাশের দেয়ালে দড়ি বেঁধে মিস্ত্রিরা রং করছিলেন। কাজ করার সময় একটি যন্ত্র মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যায়।
স্যানিটারি মিস্ত্রী জাহিদ যন্ত্রটি তুলতে বাঁশ দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে নামেন। সেখানে নেমে তিনি ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করেন। তাকে উদ্ধার করতে বায়েজিদ ট্যাংকিতে নামলে তারও সাড়া মেলে না। এরপর তাদের উদ্ধার করতে আনিছ নামে একজন ভেতরে নামলে তিনিও ফিরে আসেননি। পরে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেন।
তাদের মধ্যে জাহিদ ও বায়েজিদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর আনিসকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সুলতান মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মারা যায়। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেও মারা যায়। মূলত বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান বলেন, মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
