২৮ জুন, ২০২২ ২২:২১

বাউবিতে 'তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বাস্তবায়ন ও দিকনির্দেশনা' শীর্ষক কর্মশালা

গাজীপুর প্রতিনিধি:

বাউবিতে 'তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বাস্তবায়ন ও দিকনির্দেশনা' শীর্ষক কর্মশালা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত “তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বাস্তবায়ন ও দিকনির্দেশনা” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে আমাদের জীবনযাত্রা এবং ধ্যান-ধারণা প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের চ্যালেন্স এখন বড় হয়ে গেছে, মোবাইল ফোনের কারণে সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। তিনি আরো বলেন, বাকস্বাধীনতা, সংবিধান সম্মত অধিকার। প্রত্যেক নাগরিকেরই অবাধ তথ্য জানার মৌলিক অধিকার রয়েছে। তবে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বাধীনভাবে নিরাপত্তার সাথে তথ্য ব্যবহার করতে হবে। যেখানে আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে সেখানে আইন সংশোধনের জন্য তথ্য কমিশনের প্রতি আহবান জানান।

কর্মশালায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু। মূখ্য রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান এবং রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. নাহিদ ফেরদৌসী। 

মূখ্য রিসোর্স পার্সন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা পর্যাপ্ত তথ্য পাচ্ছি, তবে সব তথ্যই তথ্য না হওয়ায় কিছু তর্ক-বিতর্ক থেকে গেলেও আমরা তথ্য পাচ্ছি। সব তথ্য ট্রেকিং সিস্টেম এর মধ্যে চলে যাওয়ায় এখন তথ্য হাতের নাগালে রয়েছে। তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে তথ্য শেয়ারে মানুষের কিছু ভীতিও রয়েছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার মাধ্যমে জনগণ নিজের অবস্থান থেকে সব কিছু নজরদারি করতে পারে। কোন অনিয়ম দুর্নীতি ঘটলে তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে জনগনের সোচ্ছার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ড. রহমান পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন দিক, ধারা, উপ-ধারা আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি দীর্ঘ দিনের ও পুরানো তথ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি অফিসের সংরক্ষনের তাগিদ দেন। 

কর্মশালায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক ড. এএইচএম আনিসুর রহমান আখন্দ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এএসএম নোমান আলম ও কম্পিউটার বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ ফ ম মেজবাহ উদ্দিন। কর্মশালায় ৪৭ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর