সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি হ্রাস পাওয়া অব্যাহত আছে। তবে ধীরগতিতে নদীর পানি কমায় বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে দীর্ঘ সময় লাগছে।
কুশিয়ারা তীরবর্তী জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ওসমানীনগর উপজেলার অনেক এলাকা এখনো বন্যাকবলিত রয়েছে। কিছু কিছু গ্রামীণ রাস্তাঘাট থেকে পানি নামলেও বাড়িঘরে এখনো পানি রয়েছে। এসব এলাকায় এখনো খাবার ও পানীয়ের তীব্র সংকট রয়েছে।
আক্রান্ত এলাকায় ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানাধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত এলাকায় ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় বন্যার শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৬১২ মেট্রিক টন চাল, ২০ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া শিশু ও গো খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ছাড়া বরাদ্দকৃত ত্রাণ ও নগদ টাকা সম্পূর্ণ বিতরণ করা হয়ে গেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল