যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর পয়েন্টে ৩ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৬ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বসতভিটার চারপাশ তলিয়ে গেছে। এতে বন্যাকবলিতরা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বন্যায় জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক হাজার বসতভিটা সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক শতাধিক ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক হাজার বসতভিটা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে বন্যা কবলিতরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, প্রায় সপ্তাহখানেক আগে বন্যাকবলিতদের মধ্যে ১ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অর্থবছর শেষ হবার কারণে আপাতত ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ধীরগতিতে যমুনার পানি বাড়ছে। বড় ধরনের বন্যার কোন সম্ভাবনা নেই। এ বছর বন্যায় নদী তীর সংরক্ষণ বাধেরও তেমন উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএম