ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে শ্বশুরবাড়ি থেকে রিক্তা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে চরভদ্রাসন থানা পুলিশ। রিক্তা সদর ইউনিয়নরে হাজিডাঙ্গী গ্রামের মোতালেব মন্ডলের ছেলে ওমান প্রবাসী মসুদ (৩৩) মন্ডলের স্ত্রী। ঘরের আড়ার সাথে ওড়নায় ঝুলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ।
রিক্তার শাশুড়ি কমেলা বেগম বলেন, মাসুদ পাঁচ বছর যাবত ওমানে রয়েছে। দেড় বছর আগে মুঠোফেনের মাধ্যমে রিক্তার সাথে বিয়ে হয়। সেই থেকে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে থাকতেন রিক্তা। তবে রিক্তা একা একটি দোচালা টিনের ঘরে বসবাস করতো। শনিবার রাত ১২টার দিকে রিক্তাকে মুঠেফোনে কথা বলতে দেখেন তিনি। রবিবার সকাল আটটার দিকে রিক্তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি করেন। পরে রিক্তার এক চাচা শ্বশুর জানালা দিয়ে রিক্তার লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যে আলেপ মন্ডলের উপস্থিতিতে ঘরের টিন খুলে রিক্তাকে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন। এ সময় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় একটি ওড়না দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্যে আলেপ মন্ডল।
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রিক্তা দ্বিতীয় ছিলেন। তার বড় ভাই রং মিস্ত্রি নূর আলম খান (২২) বলেন, শনিবার বিকেলেও বোনের সাতে কাথা বলে গেছেন তিনি। মাঝে মাঝে মাসুদের সাতে মুঠোফোনে কথা কাটাকাটি হতো। যে কোন সমস্যা হলে নূর আলমকে জানাত। কি কারণে এ ঘটনা ঘটলো তা তিনি অনুমান করতে পারছেন না।
ঘটানার সত্যাতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার রয় বলেন ঘটানর খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ