নিরাপদ সবজির চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ কৃষক নিরাপদ সবজি চাষ শুরু করেছেন। এ সবজি স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা।
জানা গেছে, আবহাওয়া ও মাটি অনুকূলে থাকায় বিপুল পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। দু’বছর আগেও যেখানে সবজি চাষে কৃষকরা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার করতেন। সেখানে কোটচাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে জৈব কীটনাশক ও বিভিন্ন ফাঁদ যেমন (ফেরোমোন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ) ইত্যাদির মাধ্যমে নিরাপদ ভাবে সবজি উৎপাদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও সবজি ক্ষেতের পলি মালছি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে পানির আদ্রতা সংরক্ষণ হয়, সেচ কম লাগে এবং আগাছা কম হয়। যার কারণে মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে নিরাপদ ভাবে উৎপাদিত লাউ, পটল, বেগুন, সিম সহ বিভিন্ন সবজি। কৃষকরা জানান, নিরাপদ ভাবে সবজি চায় শুরু করে সবজির ফলন যেমন বেশী হচ্ছে তেমনি বাজারে এ সবজির চাহিদা বেশী থাকায় দামও বেশী পাচ্ছি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মহাসীন আলী জানান, এ বছর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকম নিরাপদ সবজি চাষ করা হয়েছে। কৃষক ভাইদের ক্ষেতে ফাঁদ পেতে পোকা দমন করার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যাতে করে তারা নিরাপদ সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
ঝিনাইদহ আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, কীটনাশক ব্যবহৃত সবজি মানবদেহে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এভাবে যদি নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হয় তাহলে কৃষকরাসহ সকলেই উপকৃত হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর