নেত্রকোনার সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছ। যে নদীর পানি বেড়ে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় প্রথম বন্যার শুরু হয়, সেই উদ্বাখালি নদীর পানি বুধবার সন্ধ্যার তথ্য অনুযায়ী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া খালিয়াজুরীর ধনু নদীর পানি নেমেছে ২৯ সেন্টিমিটার নিচে। কংশ নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ফলে বন্যা কবলিত জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগুলো থেকে পানি নামছে। তবে হাওরের পানি না কমায় এখনো কিছু কিছু এলাকার পানি একেবারে সরেনি।
অনেকে বাড়িঘর ভেঙে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের মৌ গ্রামের বজলু মিয়ার বাড়ি হারিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন আরও ঘর ভাঙা অবস্থা নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের ফরিদের। গাছ কাটা শ্রমিকের কাজ করেন ফরিদ। কিন্তু ভাঙা ঘর মেরামত করার ক্ষমতা তার নেই।
এমন অসংখ্য মানুষ বাড়িঘর ভেঙে নিঃস্ব অবস্থায় পড়েছেন। সামনে ঈদুল আজহায় ঈদ উদযাপন করবেন নাকি নিজেদের আশ্রয়স্থল ঘরে ফিরবেন এমন শঙ্কা অনেকের।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা ঘুরে দেখা হচ্ছে। মানুষের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই