পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা ধ্বংস করতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বিভিন্ন নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে চারা ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, ইসফপুর, আব্দুলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নার্সারিতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেহা তুজ জোহরা।
এসময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চারা উৎপাদন ও বিক্রি করায় তামান্না নার্সারি, এম আর ভিলেজ নার্সারি, মৌসুমী নার্সারি, জাহাঙ্গীর নার্সারি, মিম নার্সারি ও ভাই ভাই নার্সারিতে এ অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ২৫ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে।
এসময় অভিযানে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার দিনেশ চন্দ্র, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম, মো. মিনহাজুল হক নবাব, মো. রবিউল ইসলাম, মো. আজিজুল হক, রেজওয়ানুল হকসহ উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, ইউক্যালিপটাস একটি পরিবেশ বিধ্বংসী গাছ। এটি মাটি থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে। যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ কারণে সরকার এই গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করেছে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সবাইকে এই গাছ রোপণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ রোপণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। পরিবেশকর্মী ও সচেতন নাগরিকের দাবি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ কেটে পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানোর।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্ন বাগান, সড়ক ও বাড়ির আঙিনায় চোখে পড়ে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ। এসব গাছ প্রতিনিয়ত সুপেয় পানি শোষণ এবং ভূমির উর্বরতা নষ্ট করে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। এতে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। অল্পদিনে বড় হয় এবং কাঠের দাম ভালো পাওয়ায় এখনো ক্ষতিকর এ গাছ রোপণ করছেন অনেকেই।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য অত্যন্ত বিপদজনক ও ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছ। মাটি থেকে অতিমাত্রায় পানি শোষণ করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ, যা পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই