বঙ্গোপসাগরে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) এর সদস্যরা দুঃসাহসিক এবং শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে ৬ জন মায়ানমার নাগরিকসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ বিল্লাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা সূত্রে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল নিশ্চিত হয় যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ পন্থায় ডাঙ্গায় মোটা অংকের টাকা লেনদেন করবে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করবে। এই মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রের ভয়াবহতা উপেক্ষা করে র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে এবং এক পর্যায়ে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করার সময় হাতেনাতে পুরো চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা হলেন টেকনাফ ২৬ নং নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত জাফর আমানের আলী উল্লা (৫০), টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া ওসমান গণির ছেলে জিয়াবুল হোসেন (২১), জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সি ব্লকের, ক্যাম্প সি-৪ এর মৃত ফজল আহম্মেদের ছেলে আবু তাহের (৪০),মায়ানমার আকিয়াব জেলার মেহেরকুল এলাকার মোঃ শফিকের ছেলে মোঃ ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩), আমিন হোসেনের ছেলে এনামুল হাছান (২০), হাফেজ আহম্মদের ছেলো নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২১), সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে সাদেক (২২)।
আটককৃতরা জানায়, তারা সকলেই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সাথে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা গভীর সমুদ্র পথকেই মাদক কেনা-বেচায় নিরাপদ পন্থা বলে মনে করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে গভীর সমুদ্রে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। আটক আসামীর মধ্যে ১ জন বাংলাদেশী, ২ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক এবং ৬ জন কথিত মতে মায়ানমার নাগরিক।
বিডি প্রতিদিন/এএ