গাজীপুরের কালীগঞ্জে চড় দেয়ায় ও টাকা ধার না দেয়ার প্রতিশোধ নিতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করেছে প্রতিবেশী আত্মীয়রা। এ ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতের নাম মো. পনির (৪০)। সে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন বালিগাঁও এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে।
পিবিআই’র ওই পুলিশ সুপার জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন চৈতারপাড়া এলাকার মোমেন মির্জা সৌদি আরবে চাকুরী করেন। তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০) একমাত্র ছেলে স্বপন মীর্জাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাদের প্রতিবেশি পনিরের স্ত্রীও সৌদি আরবে থাকেন। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার লেনদেন নিয়ে সম্প্রতি নাজমা ও পনিরের ঝগড়া ও মনোমালিন্য হয়। খুনের ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে পনিরের ছেলে সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিলে যেতে চান নাজমা। এতে রাজী না হওয়ায় নাজমা ও পনিরের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে পনিরকে চড় মারেন নাজমা। এতে চরম অপমানিত বোধ করে ক্ষুব্ধ হয় পনির। এদিকে জমি ও সীমানা নিয়ে এবং টাকা ধার না দেয়ায় নাজমার সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল গাফফার মীর্জা ও মোস্তফার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতে নাজমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে পনির, আব্দুল গাফফার মীর্জা ও মোস্তফা। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা গত ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কৌশলে নাজমার ছেলে স্বপনকে স্থানীয় এক ওয়াজ মাহফিলে পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা বাড়িতে ঢুকে একা থাকা নাজমার মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে উপুর্যপরি আঘাতে খুন করে। এসময় পনির লাঠি হাতে নিয়ে বাড়ির প্রবেশ মুখে পাহারা দিচ্ছিল। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় নাজমার ঘরের শোকেজ থেকে এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী পনিরকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত পনির চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বুধবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ