৮ আগস্ট, ২০২২ ২৩:০২

কক্সবাজারে কটেজ জোনে টর্চার সেলের সন্ধান, উদ্ধার ৪ আটক ১১

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে কটেজ জোনে টর্চার সেলের সন্ধান, উদ্ধার ৪ আটক ১১

আটকরা

সৈকতের শহর কক্সবাজারের কটেজ জোনে টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে পর্যটকসহ স্থানীয়দের ধরে এনে মুক্তিপণ, চাঁদাবাজি ও জিম্মি করা হতো, যা চায় তা না পেলেই চলতো অমানুষিক নির্যাতন।

রবিবার রাতে সেই টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীসহ ৪ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্থান থেকে জড়িত ১১ জনকে আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। উদ্ধার হওয়া ২ শিক্ষার্থীর বাড়ি কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল ও ২ যুবকের বাড়ি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সাতকানিয়ায়। 

আজ সোমবার সকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

তিনি জানান, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্বপাশে কটেজ জোনে নিয়মিত নানা অপরাধ ও পর্যটক জিম্মি করে রাখে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ‘শিউলি কটেজ’ নামের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আসলে এটি পর্যটক আবাস অযোগ্য জায়গা। যেখানে দালালরা পর্যটকদের ফুসলিয়ে নিয়ে এসে মুক্তিপণ, চাঁদাবাজি দাবি করতেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল জানান, ভুক্তভোগীদের ২ জন রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে রাত কাটানোর জন্য সস্তা কক্ষ খুঁজতে কটেজ জোনে যান। সেখানে পথিমধ্যে দালালের খপ্পরে পড়েন তারা। দালালরা কম দামের কক্ষের কথা বলে শিউলি কটেজে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে আরও অধিক দাম দাবি করেন। তা না দেওয়ায় তাদের কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া দুই যুবককেও কম দামের কক্ষের কথা বলে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে অধিক দাম দাবি করা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় কটেজে থাকা খারাপ মেয়েদের সাথে ছবি তুলে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেন। না দেওয়ায় তাদেরও আটকে রাখা হয়। 

 ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে কটেজ জোন কেন্দ্রিক অপরাধীরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। এর মধ্যে পর্যটক হয়রানি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, অসামাজিক কার্যকলাপসহ আরও নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ট্যুরিস্ট পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর