শিরোনাম
১৯ আগস্ট, ২০২২ ০১:৪৮

বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

বাঁশের সাঁকোই তাদের পারাপারের একমাত্র ভরসা

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে একটি ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন এক গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। ক্রমেই বাড়ছে তাদের সেই ভোগান্তি। বাঁশের সাঁকোই তাদের পারাপারের একমাত্র ভরসা। তবে বর্ষা শুরু হলে এই দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বন্যায় একমাত্র ভরসা কলার ভেলা বা নৌকা।

জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার পাড়া মাদুমন্ডলের গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের বাস। গ্রামে অন্যান্য সকল ব্যবস্থা ভালো থাকলেও একটি মাত্র ব্রিজের অভাবে বছরের পর বছর দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলছেন তারা। তাদের ভোগান্তি ও কষ্টের যেন সীমা নেই।

শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করা গেলেও বর্ষায় বাড়ে দুর্ভোগ। আর বন্যায় ভরসা হয় নৌকা বা ভেলার। মাত্র কয়েক মিটার একটি ব্রিজের অভাবে কষ্টের শেষ নেই গ্রামবাসীর।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই গ্রামবাসীর ভোগান্তির প্রধান কারণ তিস্তা খালের উপর ব্রিজ না থাকা। শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হওয়া গেলেও বন্যা আর বর্ষায় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। খালের উপর ছোট্ট একটি ব্রিজ করা গেলে কমে যেত দুর্ভোগ।

এলাকার মাদ্রাসাশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামটি বেশ পরিপাটি কিন্তু নেই সড়ক বা ব্রিজের ব্যবস্থা। ফলে দুর্ভোগের সীমা নেই। দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা গেলে তা লাঘব হবে।

দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এবং কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি এলাকার ব্রিজটি সরেজমিন ঘুরে দেখেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত গ্রামবাসীর সমস্যার সমাধান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর