মেহেরপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ মেহেরপুর কারাগারে মারা গেছেন। তোফায়েল মেহেরপুর শহরের কাঁসাড়ি পাড়ার বাসিন্দা।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যু বরণ করলেও তার পরিবারের দাবি, জেলখানা থেকে কোন খবর দেওয়া হয়নি। পরে রাত ১০ টার দিকে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তার পরিবার মর্গে মরদেহ দেখতে পান। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি মর্গে দায়িত্ব থাকা কারারক্ষীরা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রাত আটার দিকে আসুস্থ অবস্থায় তোফায়েল আহম্মেদকে কারারক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তার অবস্থার আশংকা জনক থাকায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অক্সিজেন গ্রহণ না করায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে কিভাবে কখন তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।
তোফায়েলের মেয়ে তসলিমা রুশদি বলেন, ‘আমার বাবা একটি বিচারাধীন মামলায় জেল খানায় আটক ছিলেন। এবং তিনি সুস্থও ছিলেন। কিন্তু কখন কিভাবে তিনি অসুস্থ হলো আমরা তা জানি না। এমনকি মৃত্যুর পরও আমাদের পরিবারকে কোন খবর দেওয়া হয়নি। আমরা রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফেসবুক ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আসি। এর পর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আমার বাবার মৃতদেহ পাই।’
মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, ‘একটা মানুষ জেল খানায় অসুস্থ হবেন, মৃত্যুবরণ করবেন পরিবারের কেউ জানবে না এটা হতে পারে না। হয়তো তার পরিবার বা আমরা সময়মতো খবর পেলে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারতাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘একটি পারিবারিক বিচারাধীন মামলায় তোফায়েল আহম্মেদ জেলে আটক ছিলেন।’
মেহেরপুর জেলা কারাগারের সুপার মোখলেচুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তোফায়েল আহম্মেদ একটি চেক ডিজঅনার মামলায় আটমাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ৩০ মে আদালত থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এজন্য প্রতিদিনই অনেক ওষুধ সেবন করতেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল