ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান লেলিনের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শহরের মধ্যপাড়ার শান্তিবাগ এলাকাবাসী ও যুব পঞ্চায়েত কমিটি। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুব পঞ্চায়েত কমিটির অর্থ সম্পাদক ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি বলেন, শান্তিবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান লেলিনের নেতৃত্বে একটি চক্র। এতে করে এলাকায় মরণ নেশা ইয়াবা ও ফেন্সিডিল প্রকাশ্যে বিক্রয়ের ফলে এলাকার উঠতি বয়সের যুবসমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এরই ফলশ্রুতিতে স্থানীয় যুব পঞ্চায়েত কমিটি মাদক নির্মূলে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে এলাকাবাসী পদক্ষেপ নেয়। সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান করে তারা।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে লেলিন ও হৃদয়ের প্রধান সহযোগী এমরানকে মাদকসহ পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা আটক করে। এই খবর জানতে পেরে পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে মাদকসহ আটক হওয়া এমরানকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় যুব পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন আহমেদ, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। পরে এই ঘটনায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারী পঞ্চায়েত কমিটির সহ অর্থ সম্পাদক ইলিয়াছ চৌধুরী বাদি হয় লেলিন, হৃদয়সহ ১২জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় হৃদয়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হলেও তাকে অদ্যাবধি গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, নুরু মিয়া, যুব পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন আহমেদ, পৌর তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক হানিফ মিয়া ও ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ