মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় জেলের হামলার শিকার হয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহেল ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা। শনিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মাঝিরঘাট সংলগ্ন পাইনপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। এসময় মৎস অফিসের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. কামরুল হাসান সোহেল। তিনি বলেন, ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২২ উপলক্ষে আমাদের একটি দল ট্রলারে করে সন্ধ্যায় মাঝিরঘাট সংলগ্ন পাইনপাড়া এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযানে যায়। এ সময় আমার সঙ্গে ছিলেন- কৃষি অফিসার জামাল হোসেন, মৎস অফিসার আবুল বাশার, নৌ-পুলিশের আইসি জহিরুল হকসহ অন্যরা। ঘটনাটি টের পেয়ে জেলেরা অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।
তিনি আরও জানান, এসময় মৎস অফিসের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ১০ জন হামলাকারী জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এসময় আটকদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ মিটার ইলিশ মাছ ধরার জাল উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও জব্দ করা ইলিশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পাইনপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৪২), বড়কান্দি এলাকার ফজলের ছেলে শানোয়ার (২০), বড় নওপাড়া এলাকার দবির আকনের ছেলে রিয়াদ (২২), আ. বেপারি কান্দির করিম মালতের ছেলে আক্কাস মালত (৪০), একই এলাকার মোকলেছের ছেলে মোক্তার মিয়া (২০) ও আক্কাস মোড়লের ছেলে রাজিব মিয়া (২৮), বাওদিয়া এলাকার মালেক বেপারীর ছেলে শাকিল (১৯), ধোলাইপাড় এলাকার কাশেম সরকারের ছেলে মনির হোসেন (২৬), মোহর আলী মাদবর কান্দি এলাকার হান্নান ফকিরের ছেলে সুজাত ফকির (২০) ও একই এলাকার আব্দুল হান্নান ফকিরের ছেলে বাবুল ফকির (৪০)।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ