সোমবার ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোট নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতির সম্পন্নের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরাও। জেলার ১৩ টি কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রার্থীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম পাঠানো হয়েছে। কেউ প্রভাব খাটাতে চাইলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ, চারজন আনসার সদস্য, একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি থাকবে মোবাইল টিম।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের কড়া নির্দেশনা রয়েছে ভোট সুষ্ঠু করতে। আমরা সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো ধরনের জালিয়াতি করার সুযোগ নেই। আশা করছি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে ভোট।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ১৩টি সাধারণ আসনে মোট ৩৭ জন সদস্য এবং ৫টি সংরক্ষিত আসনে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলার একটি সিটি করপোরেশন, দশটি পৌরসভা ও ৩৫১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪৯১ জন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান টানা দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পান। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি লড়ছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়ে লড়ছেন নুরুল ইসলাম রানা। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কমিটির সদস্য ও জননেত্রী সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
এছাড়াও মহানগর জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন চশমা প্রতীকে ও ন্যাশনাল পিপসল পার্টি (এনপিপি) থেকে মির্জা হামিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়বেন। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন