দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দরিদ্র মানুষরা আস্ত হাঁস-মুরগি কিনতে না পারলেও জয়পুরহাটের দূর্গাদহ গুচ্ছগ্রাম বাজারে চাহিদা মত মুরগির মাংস ক্রয়ে স্থাপন করা হয়েছে প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র। যেখান থেকে প্রতিদিন আশপাশের কয়েক গ্রামের দরিদ্র মানুষরা তাদের সাধ্যমত মুরগির মাংস কিনে পূরণ করছে নিজেদের পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা। আর এ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন। বাজারে মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্ধেক মুরগি বা মাংস বেচাকেনার প্রচলন নেই। সেখানে এ কেন্দ্র থেকে একজন ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণ মাংস কিনতে পারছেন।
প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র’র মালিক স্থানীয় দূর্গাদহ বাজারের লিটন মিয়া জানান, তার এই মাংস কেন্দ্রে প্রতিদিন দরিদ্র মানুষরা মাংস কিনতে আসেন। যাদের আস্ত মুরগি অথবা হাঁস কেনার সামর্থ নেই এমন দরিদ্র মানুষরা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কেজি মাংস ক্রয় করেন। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক মুনাফা হয় হাজার থেকে বারোশ টাকা। এতে ব্যবসার পাশাপাশি গরিব মানুষরা পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের সুযোগ পাওয়ায় খুশি লিটন মিয়া।
বৃহস্পতিবার সকালে এ মাংস বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পারভীন মাহমুদ এবং সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। তারা দোকান মালিক ও ক্রেতাদের সাথে মুরগির মাংস কেনা বেচা নিয়ে কথাও বলেন।
গ্রামীণ পর্যায়ে দরিদ্র মানুষদের পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. নমিতা হালদার বলেন, মানব মর্যাদা রক্ষার জন্যই আমরা কাজ করি। কাউকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী যেন আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে,সে বিষয়ে আমরা জোর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এই কার্যক্রমটি অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে দেশজুড়ে সম্প্রসারণে কাজ করছি’।
পরে তিনি জাকস ফাউন্ডেশন ছাড়াও পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থা এহেড সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (এসো) এবং জেআরডিএম এর তরমুজ,মাল্টা ও ড্রাগন ফল চাষ প্রকল্প, ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই চাষ ও আধা নিবড়ি পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন এবং জৈব বর্জ্য কম্পোস্টিং চেম্বার সহ কয়েকটি সফল কর্মসূচী পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন,জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমীন, এসোর নির্বাহী পরিচালক মতিনুর রহমান, জেআরডিএম-এর নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ