২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০৩

বগুড়ায় ২৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ২৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা মো. গোলাম মোস্তফা

বগুড়ার শেরপুরে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৯ বস্তা চাল উদ্ধারসহ পাচার ও কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মো. গোলাম মোস্তফা (৫৫)। তিনি উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আতাহার আলী মুন্সীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। পাশাপাশি পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। 

শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামের সড়ক থেকে চালগুলো উদ্ধার করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় গ্রেফতারকৃতসহ খামারকান্দি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) একই ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে শাহ জামাল স্বপন (৪৫), মাগুড়াতাইর গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫০), গাড়ীদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর বাবু (৩৮) ও শহরের হাটখোলা এলাকার হযরত আলীর ছেলে নজরুল ইসলামকে (৪২) অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ার তাইর গ্রামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজে বিক্রি হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পরে সরকারি গুদামের সিলমোহর যুক্ত বস্তায় তোলা ত্রিশ কেজি ওজনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৯ বস্তা চালবোঝাই দুইটি ভটভটি (নসিমন) আটক করে। চালগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) শাহজামাল স্বপনের গোডাউন থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে শহরের হাটখোলা এলাকার টিসিবির পরিবেশক (ডিলার) নজরুল ইসলামের গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরপর সরকারি চালগুলো জব্দ করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা চালগুলো নিজের দাবি করে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। তবে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। পরবর্তীতে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন জানান সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি ও পাচারের সময় ২৭৯ বস্তা চালসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় আরও চারজন অভিযুক্ত ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর