বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদ্রাসা সুপারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলার কাঁঠালতলা গিয়াসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
একই ঘটনায় নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে ট্রাইব্যুনালে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। মাদ্রাসার কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক সবনম মুস্তারি মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
আদালত গত ২৭ নভেম্বর এ মামলায় একমাত্র আসামি মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল হালিমকে আটক করে আদালতে হাজির করার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে মাদ্রাসা সুপার এখন পলাতক রয়েছে।মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, সুপার হালিমের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। সে আমাকে বহুদিন যৌন হয়রানি করেছে। গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাক মেইলের চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বিচার পাইনি। থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।
এ বিষয়ে রবিবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সাবু বলেন, সুপার আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আনীত সহকারী শিক্ষিকার আনীত অভিযোগ সত্য। আদালতে মামলাও হয়েছে। সে কারণে তাকে গত ২৯ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই গুরুদাস মন্ডল বলেন, দীর্ঘ তদন্তে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আনীত যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হালিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
