নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে ৪ অটোরিকশা চোরকে আটক করে পুলিশ সোর্পদ করা হয়েছে। স্থানীয় জনতা আটককৃত চোরদের কবল থেকে চোরাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ৬টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালকের ভগ্নিপতি ও অটোরিকশাটির মালিক মাছুম রানা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জনতা কর্তৃক আটককৃত ৪ চোরকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি চুরির মামলা (নং ৩৩) দায়ের করেছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত ৪ চোরকে উল্লেখিত মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার আসামি অটোরিকশা চোররা হলো- নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সৈয়দপুর কড়ইতলা এলাকার শফি উল্ল্যাহ খানের ছেলে সবুজ খান (২৯), একই এলাকার ফকির বাড়ি মাতব্বর বাড়ি এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে ইমরান ওরফে সাগর (২৫), গোগনগর এলাকার আক্কাস মিয়ার ছেলে হৃদয় (২২) ও শহিদ নগর ২নং গল্লী এলাকার শুক্কুর মিয়ার ছেলে সানি আলম (২০)।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সুদূর পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার সুতিপাড়া এলাকার আজাফফর আলী মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আশাদুল হক ও তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইলো আইয়ুব নগরস্থ হাসেম ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় অটোরিকশা চালক আশাদুল হক জীবিকার তাগিদে অটোরিকমা নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় ফিরে আসেনি। সে সঙ্গে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার ওই দিন রাত ৮টায় মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ অটোরিকশাটির মালিককে ফোন করে জানায় চালক আশাদুল হক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মামলার বাদী সূত্রে আরো জানা গেছে, মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ অচেতন অবস্থায় আমার শ্যালক চালক আশাদুল হককে বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া টু নরপর্দি এলাকাস্থ নূরী মোস্তফার বালুর মাঠ থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় আটককৃতরা যাত্রী সেজে অটোরিকশাটিতে উঠে। পরে যাত্রী বেশী চোরের দল অটোরিকশার চালককে কৌশলে সিংগারা ও পানি সেবন করালে মূহুর্তের মধ্যে শ্যালক আশাদুল হক অচেতন হয়ে পরে। অটোরিকশাটি চুরি করার সময় বিষয়টি বন্দরে স্থানীয় জনতার নজরে পরলে এলাকাবাসী ৪ অটোচোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। পরে আমি পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে দ্রুত আমার শ্যালককে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
বিডি প্রতিদিন/এএম