রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন। সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে নির্বাচন হবে। ৩ হাজারের বেশি ইভিএম মেশিন চলে এসেছে। ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও প্রায় শেষের দিকে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমের ব্যবহার কারিগরি বিষয় হওয়ায় ভোটারদের ইভিএমের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটার শিখন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। শিখন কার্যক্রমে ভোটাররা ইভিএমে ভোটদান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবে। এছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বুধবার বিকালে রংপুরে আসবেন। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর সরকারি কলেজের অডিটরিয়ামে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
১ হাজার ৩৪৯টি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা এবং ২৩০টি কেন্দ্রে প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি করে সিসি ক্যামেরাসহ মোট ১ হাজার ৮’শ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের ইভিএম বিষয়ে দুইদিনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত ইভিএম নির্বাচন ভবনে রাখা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনীত ব্যক্তিরা ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টারে উপস্থিত হয়ে কাস্টমাইজেশনের বিভিন্ন দিক অবলোকন করতে পারবে এমন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন প্রশিক্ষিত দুইজন কর্মকর্তা/কর্মচারী কারিগরি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ভোট গ্রহণের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোট গ্রহণের আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের বিপরীতে ব্যালট ইউনিটে প্রতীক সন্নিবেশিত রয়েছে কিনা তা ভোট কেন্দ্রে পৌছে প্রিজাইডিং অফিসার যাচাই করবেন।
নির্বাচনে ৯ জন মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ মোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলো- জাপার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল, জাসদের প্রার্থী শফিয়ার রহমান ,জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান।
নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা পুলিশ এখনো তাদের হাতে দেননি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল