লালমনিরহাটে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে ঠাণ্ডায় জুবুথুবু তিস্তা ধরলার শতাধিক চরের মানুষ। গত দুইদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় কাহিল লালমনিরহাটের নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠাণ্ডায় জনিত রোগে ভুগছেন।
এদিকে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ গুলো পড়েছে বিপাকে। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। মহাসড়কগুলোতে ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সারাদিন লালমনিরহাটে সূর্যের লুকোচুরি করলেও বেড়েছে হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে পাতলা কাপড় পড়ে কাজের সন্ধানে নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত পড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা। এই শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা কাহিল হয়ে পড়ছে। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, অন্যান্য জেলার চেয়ে লালমনিরহাট জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। তাই এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার কম্বল বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত