সময়ের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কৃষি খাতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের বিভিন্ন পদক্ষেপের একটি সমবায়ভিত্তিক সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি। এমনই চাষাবাদ পদ্ধতিতে প্লাস্টিক সীডলিং ট্রেতে বীজ বপন করার চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের খানসামার আলোকঝাড়ী ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামে। খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় আধুনিক এই চাষাবাদ পদ্ধতিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষক-কৃষাণীরা।
যন্ত্রের মাধ্যমে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যে প্লাস্টিক সীডলিং ট্রেতে ধান বীজ বপন করে ট্রেতে চারা উৎপাদন শুরু হয়েছে। সেই চারা পরবর্তী সময়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে রোপণ করা হবে। এসব যন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকের কমেছে শ্রম ও খরচ অপরদিকে বেড়েছে উৎপাদন। চারা রোপণ থেকে ফসল কাটা পুরো প্রক্রিয়াই হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে। এতে শীত বা অধিক খরায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে ২০০০ প্লাস্টিক সীডলিং ট্রেতে ব্রি-৯২ জাতের ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। যা খানসামার প্রায় ৫০ একর জমিতে রোপণ করা হবে এবছর। গতবছরও পরীক্ষামূলক ভাবে এটি হয়।
কৃষক মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, সময় ও অর্থ বাঁচানোর জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছি।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, কৃষি কাজে খরচ ও সময় বাঁচাতে এবং অধিক লাভ করতে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের বিকল্প নেই। তাই চারা রোপণ, বীজ বপণ ও ফসল কর্তনে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ