দীর্ঘদিন পর নেত্রকোনায় মঞ্চস্থ হয়েছে সবুজ বয়াতি ও তার দলের পরিবেশনায় কেচ্ছাপালা কমলার বনবাস। শনিবার রাতে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত দুই দিনব্যাপী লোক উৎসবের শেষ দিনে আরও মঞ্চস্থ হয়েছে বাংলার শেষ নবাবকে নিয়ে রচিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
নেত্রকোনার জ্ঞানদীপ থিয়েটারের পরিবেশনায় যাত্রাপালা দেখতে রাত একটা পর্যন্ত শীত উপেক্ষা করে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। তিল ধারনের জায়গা পর্যন্ত ছিলো না শহীদ মিনার চত্বরে ও বাইরের সড়কে। সুসং দুর্গাপুরের কমলা রানীর দিঘী নিয়ে কেচ্ছা ও নবাবেব ইতিহাস নিয়ে যাত্রাপালা মূল আকর্ষণ থাকলেও এর আগে বাউল সুনীল কর্মকার ও আবুল বাশার তারলুকদারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাউলদের গান পরিবেশিত হয়।
শনিবার শেষ দিনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের নানা বাড়ি বেড়াতে আসা শিক্ষাবিদ লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল লোকসংগীতে অংশ নিয়ে শিশুদের প্রতি পড়াশোনা ও গল্প পড়ার আহ্নান রাখেন। মোবাইল থেকে বের হয়ে সরাসরি অনুষ্ঠান দেখে শেখার জন্য তাগিদ করেন। তিনি নিজেও সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মানুষ উল্লেখ করে বলেন, আমার ফোনটা দেখো বাটনের। কারণ আমি পাখি দেখতে চাই, প্রকৃতি দেখতে চাই, আকাশ দেখতে চাই। নিজেকে মোবাইল ডিভাইজের ভেতরে আটকে রাখতে চাই না।
আয়োজিত লোকসংগীত উৎসবে জেলার গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা মোট ২৪ জন বাউল শিল্পী দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই