ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লাখ টাকা খুইয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিকাশ ব্যবসায়ী জামাল আহমদ। সংঘবদ্ধ চক্র প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক দফায় মূহুর্তেই লুটে নেয় এ টাকা। এ ঘটনায় প্রতারকদের স্থানীয় এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন তিনি। তার নাম আরিফুর রহমান ওরফে আরফি বিল্লাহ (৩৫)। সে ময়মনসিংহ জেলার দুবাউরা থানার গিলাঘরা গ্রামের আবদুল বারিকের ছেলে ও বিশ্বনাথ পৌরশহরের রাজনগর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। গত রবিবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের নতুনবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে প্রকাশ, বিশ্বনাথ নতুনবাজারের দীর্ঘদিন ধরে তিনি রকেট, নগদ, বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড’র ব্যবসা রয়েছে জামাল আহমদ নামের ওই ব্যবসায়ীর। ঘটনার দিন গেল ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতারক চক্রের স্থানীয় সদস্য আরিফ এসে, তার কিছু টাকা আনানোর কথা বলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রকেট নাম্বার চেয়ে নেয়। একটু পরেই দোকান কর্মচারীকে বলে আপনাদের নাম্বারে আমার টাকা এসেছে। তখন দেয়া যায়, ওই নাম্বারে হুবহু অফিসিয়াল কায়দায় ২৪ হাজার ৫টাকার একটি ভূয়া ক্ষুদে বার্তা আসে। বিষয়টি ভূঁয়া বুঝতে না পেরে দোকান কর্মচারী প্রতারক আরিফের হাতে টাকাগুলো হস্তান্তর করেন। তখন সে ২ হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা ওই দোকান থেকেই প্রতারকচক্রের অন্য সদস্যদের বিকাশ নাম্বার প্রেরণ করে।
একই কায়দা পরপর আরও ৩টি ভূয়া ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে চারবারে ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই টাকা গুলোও দোকান থেকে অন্য প্রতারকদের বিভিন্ন নাম্বারে পাঠায় সে। হ্যাক করে রাখা হয় ব্যবসায়ীর রকেট একাউন্টও। পরদিন ২২ জানুয়ারি বিষয়টি বুঝতে পেরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে স্থানীয় প্রতারক আরিফকে সনাক্ত করেন। লিখিত অভিযোগ দেন থানায়। পরে সন্ধ্যায় আরিফকে নিজেই আটক করে পুলিশে সোর্পোদ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগের পেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক এ বিষয়ে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ