১৯৭১ সালের শেরপুরের নির্মম গণহত্যার ইতিহাস নিয়ে হাজার হাজার দর্শকের প্রাণের মূর্ছনায় শেরপুরে মঞ্চস্থ হলো ‘একাত্তরের বীরকন্যা’। রবিবার রাতে শেরপুরের গোবিন্দ কুমার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নাটকটির মঞ্চায়ন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ থিয়েটারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কর্মকর্তা এবং নাটকের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরা ‘একাত্তরের বীরকন্যা’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেন। লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায়, আল জাবিরের রচনায়, এস এম জুবায়েরের নির্দেশনায়, আল আহমেদ মুকুলের প্রযোজনায়, আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহর গবেষণায় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার (অ. দা.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্বাহী প্রযোজনায় ‘একাত্তরের বীরকন্যা’ নাটকটি মঞ্চায়িত হয়।
মঞ্চায়িত নাটকটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন শেরপুর জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসএম নুরুল ইসলাম হিরোসহ অসংখ্য মানুষ। মুজিব জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৬৪ জেলায় গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার মঞ্চায়নের অংশ হিসেবে শেরপুরে নাটকটির মঞ্চায়ন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই