‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পতিত ও অনাবাদি এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না’এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে সাবলম্বী হয়েছেন ৫০০ নারী-পুরুষ। বাড়ির আঙিনায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় পতিত জমিতে মাটি ফেলে সবজি চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা। এসব বাগান স্বামীর পাশাপাশি শখের বসে নিয়মিত দেখাশোনা করেন স্ত্রী-সন্তানরা।
এতে তারা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সবজি জোগান দিয়ে থাকেন। প্রায় ১৮-২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন এসব উদ্যোগী কৃষক।
কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত ৩০০টি প্রর্দশনী স্থাপন করেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প। প্রতিটি প্রদর্শনীতে জমির পরিমাণ ১.৫ শতাংশ। কালিয়াকৈর উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষকরা। প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায় ক্রমে ১০০টি করে প্রদর্শনী দেওয়া হবে। সবজির পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় ফসল। সবজির মধ্যে আছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমোটো, পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ, লাই, সীম। এতে বাঁশ, খুঁটি, সার, বীজ, ঝাঝরি, নেট, সাইনবোর্ড সবই দেওয়া হয় বিনা মূল্যে। নিয়মিত কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করে থাকেন পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান দিন দিন বাড়ছে। এখান থেকে নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন করে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পারছে। এতে একদিকে তারা লাভবান হচ্ছে পাশাপাশি পতিত জমি চাষের আওতায় চলে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ