ধর্ষণের শিকার সেই নারীর সাথে আদালত প্রাঙ্গণে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিয়ে হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে পুলিশের এএসআই মো. সজল মাহমুদ (৪০) তাকে বিয়ে করেন। বিয়ে পড়ান মো. মহিউদ্দিন নামে এক কাজী।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. সজল মাহমুদ ভাঙ্গা থানায় সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে গত ১১ দিন আগে তাকে প্রশাসনিক কারণে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস এ বদলি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট খবর- ফরিদপুরে পুলিশের এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাএদিকে বিয়ের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা অভিযোগ ওই নারী (৩৩) প্রত্যাহার করে নেন। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
বিয়ে পড়ানোর পর ওই নারীর পক্ষের আইনজীবী আলোকেশ রায় ওই আদালতের পিপি স্বপন পালের মাধ্যমে আদালতে এএসআই সজল মাহমুদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং এ ঘটনায় তার গর্ভবতী হয়ে পড়া, গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা ও ভাঙ্গা থানার পুলিশ কোয়াটারে নিয়ে গিয়ে কিছু কাগজপত্র ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও মারপিট করা সম্পর্কিত অভিযোগটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের পিপি স্বপন পাল জানান, আদালত অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদনটি মঞ্জুর করে সেটি প্রত্যাহার করে নেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আলোকেশ রায় বলেন, বাদী অবিবাহিত ছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এর ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। নারীর গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় দেওয়াসহ ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বিয়ে করায় ওই নারী আদালতের কাছে অভিযোগটি প্রত্যাহারের এ আবেদন জানান।
অলোকেশ রায় আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতটি ফরিদপুরের আদালত এলাকার আটতলা ভবন বিশিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ছয় তলায় অবস্থিত। মঙ্গলবার দুপুরে ওই আদালতের বাইরে বারান্দায় এ বিয়ে পড়ানোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রসঙ্গত গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা সজল মাহমুদের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল