আগামীকাল শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুত জেলবাসী। পরিস্কার করা হয়েছে শহীদ মিনারও। এরই ধারবাহিকতায় ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও একুশের চেতনাকে লালন করে রাখার জন্য প্রতিবারের মতো এবারো ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে এবারো সড়কে করা হয়েছে আলপনা। সোমবার দুপুরে আলপনা আঁকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।
ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও একুশের চেতনাকে লালন, ধারণ ও বিস্তার ঘটানোর জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে রং-তুলিতে আঁকা হয়েছে দীর্ঘ আলপনা। জেলা শহিদ মিনার সংলগ্ন পূর্ব পাশের সড়কে আলপনা আঁকায় অংশ নেন শিশুসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সড়কে আঁকা লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানা রঙের বর্ণিল আলপনা মানুষের নজর কেড়েছে। আলপনার এই উৎসবে অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষাথীরাসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষেরা।
আলপনা আকছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান রিপন। তিনি বলেন, একুশের চেতনাকে ধারণ ও বিস্তার করার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম আলপনা আঁকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি এই আলপনার মাধ্যমেই আমরা একুশের চেতনাকে ধরে রাখতে পাড়বো।
শিক্ষার্থী সোহলে তানভির বলেন, প্রতিবার বড় ভাই ও আপুরা এখানে আলপনা আঁকতেন। এবার আমারও সুযোগ হয়েছে। যতটুকু পেরেছি এঁকেছি। আলপনা আঁকতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, একুশ মানে ভাষা শহিদদের হারানোর শোক। একুশ মানে মাতৃভাষাকে অর্জনের গৌরব। আমরা আলপনার মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই একটি কথা। আশা করি আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ