সিলেটে সুরমা নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় হাত-পা বাঁধা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক নওমুসলিম যুবকের মরদেহ।
সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল রোডের পাশে সুরমা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ও রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার কুচারপাড় এলাকার একটি ঘর থেকে নওমুসলিম আবদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান তালুকদার জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনিক্যাল রোডের মেসার্স ইমরান চায়না অটো রাইসমিলের সামনে সুরমা নদীর তীরে বস্তাবন্দি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেন। মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। লাশের হাত-পা বাঁধা ছিল এবং শরীরে পঁচন ধরেছে। এখনো লাশের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ওই ব্যক্তির লাশ নদীর তীরে ফেলে গেছে ঘাতকরা।
এদিকে, গতকাল রবিবার বিকেলে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার কুচারপাড়াস্থ রশিদ মোল্লার গ্যারেজের পাশের একটি টিনশেড বাসার ভেতর থেকে আবদুর রহমান নামের নওমুসলিম এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রামের সুনীল রায়ের ছেলে। আবদুর রহমান পেশায় রিকশা চালক। সম্প্রতি তিনি ও তার ভাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে সিলেট মহাগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুদ্বীপ দাস জানান, রিকশাচালক নওমুসলিম আবদুর রহমান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রিকশা রেখে ভাড়া বাসায় ঘুমাতে যান। এরপর তাকে আর কেউ দেখেনি। রবিবার বিকেলে গ্যারেজের মালিক ও প্রতিবেশীরা তাকে ডাকতে গিয়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ভাই ইমাম উদ্দিনকে খবর দেন। পরে ইমাম এসে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে আবদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে। ঘরের বিছানার উপর আবদুর রহমানের লাশ উপুড় অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সুদ্বীপ দাস জানান, আবদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল