বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে জরুরি সভা করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।
সভা শেষে কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘কোন ছাত্রলীগ দেখার সময় নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খাউলিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, ‘ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার সাইদুর রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগের নেতৃত্বে একদল যুবক হামলা করে’।
হামলার একদিন পরে আজ সোমবার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চালিতাবুনিয়া গ্রামের মো. শেরে আলম। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কয়েকজন সদস্য আলোচনা করছিলেন। ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরুন্নবী পরাগের নেতৃত্ব একদল যুবক সেখানে হামলা করে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র কর লাঞ্ছিত হন। আহত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ৯ জন।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, রবিবার রাতে ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে সন্নাসী বাজারে খাউলিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলে ১২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন