জনবহুল স্থান, বিয়ে বাড়ি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে দুর্বল লক থাকা মোটরসাইকেল, অথবা যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক বা তালা থাকে না সেগুলোই টার্গেট করত তারা। এক মিনিটেই এই চোর চক্র ‘মাস্টার কি’ দিয়ে লক খুলে নিজেরাই মোটরসাইকেল চালিয়ে নিয়ে যেত। তারপর সেগুলো বিক্রি করা হত।
সম্প্রতি জয়পুরহাট শহরে সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালাকালে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এরপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্যদকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম।
গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে তাওসিব হাসান (২৪), একই উপজেলার মাতখুর গ্রামের সুলতান হোসেনর ছেলে মিম হোসেন(২৫), বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার উৎরাইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিন্নাগাড়ী গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে সোহান (২২), একই উপজেলার বাগদাপাড়া খালিপুর গ্রামের আলফার হোসেনের ছেলে শামীম (২৪), একই গ্রামের তদির উদ্দিনের ছেলে আলফার হোসেন(৪৫)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থেকে একটি ১৫০সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন মোটরসাইকেলের মালিক রাশেদ এরপর পুলিশ চোর চক্রের সদস্য রবিউলকে গ্রেফতার করে পরে তার দেওয়া তথ্যে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করতেন তারা। ওই মাস্টার কি দিয়ে এক মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন। এর আগেও বেশ কিছু মোটরসাইকেল জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করে বিক্রি করেছেন তারা।
প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহেদ আল-মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল