গাজীপুরে বোনের বাসায় বেড়াতে এসে গলা কেটে মাকে খুন করেছে তার ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের ছেলেকে আটক করেছে। বুধবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন দেউলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম-জোসনা বেগম (৭০)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ঘোষেরকান্দি এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী। খুনের ঘটনায় আটক ছেলের নাম মো. মাসুম (২৭)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, গত তিনদিন আগে মাসুম তার মা জোসনা বেগমকে নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন দেউলিয়াপাড়া এলাকার (আল মুনসের মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুলের পাশে) বোনের ভাড়াবাসায় বেড়াতে আসেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাসুমের চিকিৎসার বিষয়ে তার বোন খাদিজা আক্তার বাসার বাইরে যান। এর কিছুক্ষণ পর মাসুম তার মাকে ডেকে রুমের ভেতর নিয়ে দরজা আটকে দেয়। এ সময় মাসুম বটি দা দিয়ে তার মাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাসুমের মা জোসনা বেগম।
ওসি জানান, রুমের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ দেখতে পেয়ে পাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা ডাকাডাকি করে। কিন্তু কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা পাশের ঘরের ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। তারা মাসুমকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেন। ওই সময় মাসুমের ভগ্নিপতি কর্মস্থলে ছিলেন।
জিএমপি কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দিদারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার এবং তার অভিযুক্ত ছেলে মাসুমকে আটক করে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ‘বটি’ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল।
ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল