নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দোকান বাঁকির টাকা চাওয়ার জেরে প্রতিপক্ষের কাঁচির আঘাতে রক্তাক্ত জখমে গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক ফজলুর রহমান (৩২)। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফজলুর রহমান স্থানীয় বাগাতিপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পৌরসভার লক্ষণহাটী মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে।
আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান জানান, তার চাচা পৌরসভার পেড়াবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল এবং একই উপজেলার কোয়ালিপাড়া গ্রামের আকরাম হোসেন পিন্টু উভয়েই ঔষধ ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারণে তার চাচার দোকান থেকে ওষুধ ক্রয়ের সূত্র ধরে আকরাম হোসেন পিন্টুর ২৮ হাজার ২১০ টাকা বাকি ছিল। হালখাতায় বকেয়ার টাকা পরিশোধ না করায় বিষয়টি নিয়ে কথা হলে শনিবার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকার পিন্টুর ভেটেরিনারি ওষুধের দোকানে যেতে বলেন পিন্টু। সেখানে গেলে পিন্টু ৫ হাজার টাকা বাকি থাকার দাবি করলে চাচা মোস্তফা কামাল এবং পিন্টুর মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চাচার ওপর চড়াও হলে সাথে থাকা সাংবাদিক ফজলুর রহমানের প্রতিবাদ করে বাকি টাকা পরিশোধের কথা বলেন।
এসময় পিন্টুর ছেলে আবু রাসেল স্বপন পেছন থেকে ধারালো কাঁচি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে সাংবাদিক ফজলুর রহমানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই রাতেই তার চাচা মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে পিন্টু ও তার ছেলে স্বপনকে অভিযুক্ত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পিন্টু বলেন, আমি এই ঘটনায় জড়িত না। আমাকে মারধর করলে আমার ছেলে কি বসে থাকব? সে বাবার উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ব্যাপার আমি আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আফতাব খান সুইট বলেন, একজন সাংবাদিককে এভাবে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএ